Categories

Pages

Links

নামাজ বেহেস্তের চাবি

সালাত/নামায/ নামাজ হল ইসলাম ধর্মের সর্বোচ্চ খুঁটি( সর্বকৃষ্ট ইবাদত) , ফরজে আইন । প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ।

পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করা হয়েছে, 'নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে রক্ষা করে' (সূরা আনকাবুত : ৪৫)

যারা নামাজ পড়ে কিন্তু নামাজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না, তাদের নামাজ তাদেরকে পৃথিবীতে পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে না, আখেরাতেও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করবে না।

ইসলামে নামাজ ফর‌য হওয়ার জন্য শর্তগুলো হলোঃ-

১) মুসলিম হওয়া
২)সাবালক হওয়া এবং
৩)সুস্থ মস্তিস্কের হওয়া।

নামাজের (শর্তবলী সমুহ ) -

১)     নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হলে। অনিশ্চিত হলে নামাজ হবে না, যদি তা ঠিক ওয়াক্তেও হয়।
২)    কাবামুখী হয়ে দাঁড়ানো। তবে অসুস্থ এবং অপারগ ব্যক্তির জন্য এই শর্ত শিথিলযোগ্য।
৩)    সতর ঢাকা থাকতে হবে। পুরুষের সতর হল নাভির উপর থেকে হাঁটুর নিচ (টাখনুর উপরে) পর্যন্ত, আর নারীর সতর হল মুখমণ্ডল, দুই হাতের কব্জি ও দুই পায়ের পাতা ব্যতীত সারা শরীর।
৪)     পরিধেয় কাপড়, শরীর ও নামাজের স্থান পরিষ্কার বা পাক-পবিত্র হতে হবে।
৫)     অযু, গোসল বা তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।

নামাযের আহকামসমুহঃ

    শরীর পবিত্র হওয়া।
    কাপড় বা বস্ত্র পবিত্র হওয়া।
    নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া।
    সতর ঢেকে রাখা।
    কিবলামুখী হওয়া।
    ওয়াক্তমত নামাজ আদায় করা
    নামাজের নিয়্যত করা।

নামাযের আরকানসমুহঃ

    তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা।
    দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
    সুরা ফাতিহার সাথে কুরআন পড়া।
    রুকু করা।
    দু্ই সিজদা করা।
    শেষ বৈঠক করা।
    সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা।

 

1 সালাতুল তাসবিহ নামাজ কি এবং নামাজের নিয়ম

হাদীসে আছে, সালাতুল তাসবিহ নামায পড়লে আল্লাহ পাক, আপনার আগের-পিছনের, পুরাতন-নতুন,ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট- বড়, গোপনে করা বা প্রকাশ্যে করা- যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন - এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলে সপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত। যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন ।

সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ

সালাতুত তাসবিহ হাদীস শরীফে ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামাযের অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। এই নামায পড়লে পূর্বের গুনাহ বা পাপ মোচন হয় এবং অসীম সওয়ার পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।


সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ চার রকাত । প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।


তাসবীহঃاَكْبرُ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ  উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।


# ১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে
# তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
# এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে “রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
# তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, ( সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।)
# অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর “আত্তহিয়্যাতু…” পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে , ২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে (তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) ।


কোন এক স্থানে উক্ত তাসবীহ পড়তে সম্পূর্ণ ভুলে গেলে বা ভুলে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম পড়লে পরবর্তী যে রুকনেই স্মরণ আসুক সেখানে তথাকার সংখ্যার সাথে এই ভুলে যাওয়া সংখ্যাগুলোও আদায় করে নিবে। তাসবীহের সংখ্যা স্মরণ রাখার জন্য আঙ্গুলের কর গণনা করা যাবে না, তবে আঙ্গুল চেপে স্মরণ রাখা যেতে পারে।

আর এই নামাযে কোন কারণে সাজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে সেই সাজদা এবং তার মধ্যকার বৈঠকে উক্ত তাসবীহ পাঠ করতে হবে না।